আজ জিলক্বদ মাসের কত তারিখ? (১৪৪৫ হিজরী) আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৪

জিলক্বদ ইসলামি বর্ষপঞ্জিকার ১১ম মাস। এটি ঈদুল ফিতরের পরবর্তী মাস এবং ঈদুল আযহা পূর্ববর্তী মাস এবং হজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার মাস।

আমরা অনেকেই ইংরেজি ও বাংলা তারিখ জানলেও আরবি তারিখ সম্পর্কে ধারণা রাখিনা। কিন্তু আরবি তারিখ আমাদের অনেক কাজেই প্রয়োজন হয় বিশেষকরে মুসলমান হিসাবে আমরা বিভিন্ন মাসে নানান রকম ইবাদাত করে থাকি যেগুলা আরবি মাসের সাথে সম্পর্কিত।

এখন আরবি জিলক্বদ মাস চলমান। আপনি যদি জিলক্বদ মাসের আজকের তারিখ জানতে চান? অথবা জিলক্বদ মাসের ক্যালেন্ডার খুজতেছেন (arbi jilkad maser calendar) তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় আছেন। এই পোস্টার মাধ্যমে আপনি জিলক্বদ মাস সম্পর্কে যেমনঃ তারিখ, ক্যালেন্ডার, ইবাদাত, তাৎপর্য সহ নানান বিষয় জানতে পারবেন।

আজ আরবি জিলক্বদ মাসের কত তারিখ?

আপনারা অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন যে , ইংরেজি মাসের কোন সময় আরবি জিলক্বদ মাস হয়। তাদের জন্য উত্তর হলো এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে মে মাসের কিছু অংশ এবং জুন মাসের কিছু অংশ মিলে ১৪৪৫ হিজরীর সনের জিলক্বদ মাস হবে যা আপনি নিচের দেয়া জিলক্বদ মাসের ক্যালেন্ডার থেকেও মিলিয়ে দেখতে পারেন।

জিলক্বদ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪ – ১৪৪৫ হিজরী

চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ইসলামি বা হিজরি ক্যালেন্ডারে তারিখ বছরের পর বছর পরিবর্তিত হয় যার অর্থ হল আরবি মাসগুলি চাঁদের চক্রের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি মাসের সময়কাল ২৯ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে।

এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে ইসলামিক ক্যালেন্ডারটি মূলত মুসলিম বিশ্বে ব্যবহৃত হয়। মিডেলিস্ট বা মধপ্রাচ্যে এবং দক্ষিণ এশিয়ও দেশগুলির মধ্যে আরবি তারিখের ১ দিনের পার্থক্য দেখা যায় কারণ হলো দেশগুলোর অবস্হান।

নিচে ১৪৪৫ হিজরীর জিলক্বদ মাসের ক্যালেন্ডার দেয়া হলো যেখানে ইংরেজি তারিখও উল্লেখ আছে যার ফলে আপনি সহজে খুঁজে বের করতে পারবেন।

আরবি জিলক্বদ মাস নিয়ে বিস্তারিত:

জিলক্বদের অর্থ:

• জিলক্বদ শব্দের অর্থ “বসে থাকা” বা “বিশ্রাম নেওয়া”।
• এ মাসের নামকরণের কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন মত রয়েছে। এক মত অনুযায়ী, এ মাসে আরবরা যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধ করে বিশ্রাম নিত। অন্য মত অনুযায়ী, এ মাসে হজের জন্য যাত্রা শুরু হত।

জিলক্বদ মাসের তাৎপর্য:

• হিজরি বর্ষপঞ্জির একাদশ মাস হল জিলক্বদ।
• হজের তিন মাসের (শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ) দ্বিতীয় মাস।
• হজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার মাস।
• রমজান ও শাওয়ালের আমলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার মাস।

জিলক্বদ মাসের আমল:

• হজের প্রস্তুতি: যারা হজে যাবেন তারা এ মাসে হজের প্রস্তুতি নেবেন।
• নামায-রোযা: রমজান ও শাওয়ালের আমলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নামায-রোযা পালন করা।
• দান-সদকা: দান-সদকা করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা।
• জিকির-আযকার: জিকির-আযকার করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে নৈকট্য লাভ করা।
• তওবা-ইস্তেগফার: গুনাহের জন্য তওবা-ইস্তেগফার করা।