আজ জমাদিউল আউয়াল মাসের কত তারিখ? (১৪৪৬ হিজরী) আরবি ক্যালেন্ডার ২০২৪

জমাদিউল আউয়াল ইসলামি বর্ষপঞ্জিকার ৫ম মাস। আমরা অনেকেই ইংরেজি ও বাংলা তারিখ জানলেও আরবি তারিখ সম্পর্কে ধারণা রাখিনা। কিন্তু আরবি তারিখ আমাদের অনেক কাজেই প্রয়োজন হয় বিশেষকরে মুসলমান হিসাবে আমরা বিভিন্ন মাসে নানান রকম ইবাদাত করে থাকি যেগুলা আরবি মাসের সাথে সম্পর্কিত।

এখন আরবি জমাদিউল আউয়াল মাস চলমান। আপনি যদি জমাদিউল আউয়াল মাসের আজকের তারিখ জানতে চান? অথবা জমাদিউল আউয়াল মাসের ক্যালেন্ডার খুজতেছেন (arbi jamadiul awal maser calendar) তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় আছেন। এই পোস্টার মাধ্যমে আপনি জমাদিউল আউয়াল মাস সম্পর্কে যেমনঃ তারিখ, ক্যালেন্ডার, ইবাদাত, তাৎপর্য সহ নানান বিষয় জানতে পারবেন।

আজ আরবি জমাদিউল আউয়াল মাসের কত তারিখ?

আপনারা অনেকেই জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন যে , ইংরেজি মাসের কোন সময় আরবি জমাদিউল আউয়াল মাস হয়। তাদের জন্য উত্তর হলো এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে নভেম্বর মাসের কিছু অংশ এবং ডিসেম্বর মাসের কিছু অংশ মিলে ১৪৪৬ হিজরীর সনের জমাদিউল আউয়াল মাস হবে যা আপনি নিচের দেয়া জমাদিউল আউয়াল মাসের ক্যালেন্ডার থেকেও মিলিয়ে দেখতে পারেন।

জমাদিউল আউয়াল মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৪ – ১৪৪৬ হিজরী

চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ইসলামি বা হিজরি ক্যালেন্ডারে তারিখ বছরের পর বছর পরিবর্তিত হয় যার অর্থ হল আরবি মাসগুলি চাঁদের চক্রের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি মাসের সময়কাল ২৯ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে।

এটি লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে ইসলামিক ক্যালেন্ডারটি মূলত মুসলিম বিশ্বে ব্যবহৃত হয়। মিডেলিস্ট বা মধপ্রাচ্যে এবং দক্ষিণ এশিয়ও দেশগুলির মধ্যে আরবি তারিখের ১ দিনের পার্থক্য দেখা যায় কারণ হলো দেশগুলোর অবস্হান।

নিচে ১৪৪৬ হিজরীর জমাদিউল আউয়াল মাসের ক্যালেন্ডার দেয়া হলো যেখানে ইংরেজি তারিখও উল্লেখ আছে যার ফলে আপনি সহজে খুঁজে বের করতে পারবেন।

আরবি জমাদিউল আউয়াল মাস নিয়ে বিস্তারিত:

জমাদিউল আউয়াল নামকরণ:

• “জমাদি” শব্দের অর্থ “শীত” বা “স্থির”।
• “উল আউয়াল” শব্দের অর্থ “প্রথম”।
• সুতরাং, “জমাদিউল আউয়াল” অর্থ “প্রথম শীতকাল”।

জমাদিউল আউয়াল মাসের ইতিহাস:

• জমাদিউল আউয়াল হিজরি বর্ষপঞ্জির পঞ্চম মাস।
• এই মাসের নামকরণ করা হয়েছে কারণ এটি সাধারণত শীতকালের মধ্যে পতিত হয়।
• ইসলামের ইতিহাসে এই মাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে।

জমাদিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব:

• জমাদিউল আউয়াল মাস অন্যান্য মাসের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
• এই মাসে মুসলিমদের উচিত আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে মনোনিবেশ করা।
• ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত ইবাদতের পাশাপাশি নফল ইবাদতে মনোনিবেশ করা উচিত।
• এই মাসে রোজা রাখা, দান-খয়রাত করা, দু’আ ও তাসবিহ পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা:

• ৫ম হিজরিতে আল-হুদায়বিয়ার সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।
• ৮ম হিজরিতে মক্কা বিজয় সংঘটিত হয়।
• ১১ হিজরিতে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর ইন্তেকাল ঘটে।

উপসংহার:

• জমাদিউল আউয়াল মাস একটি বরকতময় মাস।
• এই মাসে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে মনোনিবেশ করে
• আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করা উচিত।